যে দক্ষতার মাধ্যমে হতে পারেন একজন প্রফেশনাল হ্যাকার।
আপনি কি হ্যাকার হতে চান? কিন্তু কিভাবে শুরু করবেন বুঝতে পারছেন
না? তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য। যদিও হ্যাকিং বিষয়ে অনেক ফ্রি রিসোর্স এবং বই ইন্টার্নেটে আছে কিন্তু
বেশীরভাগ ক্ষেত্রে সেগুলা বিগেনার
হ্যাকার দের জন্য না।এ জন্য যারা একেবারে নতুন তারা যাতে শুরু থেকে হ্যাকিং শেখা শুরু করতে পারে সে জন্য
এই পোস্টটা লিখছি।
১. বেসিক কম্পিউটার স্কিল:
আপনার প্রথমে যে দক্ষতা থাকতে হবে
সেটা হলো ভাল কম্পিউটার চালানোর
দক্ষতা, কিভাবে ইনটার্নেটে সার্চ দিতে
হবে, সফটওয়্যার ইন্সটল বা আনইন্সটল দিতে হবে। CMD কমান্ড লাইনে লেখা,
রেজিষ্ট্রি ইডিট করা,নেটওয়ার্ক কানেক্ট
করা।
২.নেটওয়ার্ক দক্ষতা:
ভাল হ্যাকার হতে হলে আপনার অবশ্যই
নেটওয়ার্কিং সম্পর্কে ভাল ধারনা থাকতে হবে কারন হ্যাকিং সাধারনত নেটওয়ার্ক
ব্যবহারের মাধ্যমে হয়ে থাকে ।এ জন্য বিভিন্ন ধরনের নেটওয়ার্ক,পাবলিক ও প্রাইভেট আইপির পার্থক্য, DHCP,
NAT, Subnetting, IPv4, IPv6, , DNS, Routers and switches, VLANs, OSI model, MAC addressing ARP সম্পর্কে
জানুন।
৩. বিভিন্ন অপারেটিং সিস্টেম সর্ম্পকে জানুন: অমরা সাধারনত উইন্ডোস ব্যবহার করে অভ্যস্ত কিন্তু মাইক্রোসফটয়ের windows বাদেও আরো অনেক অপারেটিং সিস্টেম আছে। তাছাড়া microsoft
windows অপারেটিং সিস্টেম হ্যাকিং এর
জন্য উপযোগী না। ভাল হ্যাকিং শিখতে
আপনাকে অবশ্যই linux অপারেটিং সিস্টেম সর্ম্পকে ভারো ধারনা থাকতে হবে এবং ব্যবহার করতে হবে।
সাধারনত হ্যাকার হিসাবে যে টুলগুলা
ব্যবহারের দরকার হয় সেগুলা linux এর মাধ্যমে ব্যবহারে জন্য তৈরি করা এবং windows এ ব্যবহার সম্ভব না।
৫.ভার্চুয়ালাইজেশন:
ভার্চুয়াল সফটওয়্যার প্যাকেজ গুলা যেমন :
Virtual box অথবা VMWare Workstation ব্যবহারের ক্ষেত্রে দক্ষ হওয়া
প্রয়োজন। সাধারনত বাইরের জগতে
ব্যবহারের পূর্বে আপনার প্রাকটিসের জন্য একটি নিরাপদ পরিবেশ প্রয়োজন।আর অরজিনাল হ্যাক করার পূর্বে ভার্চুয়াল পরিবেশ আপনাকে এ ধরনের সুযোগদেবে।
৬.ওয়্যারলেস
টেকনোলজিস: wifi হ্যাক করার পূর্বে
আপনাকে জানতে হবে এগুলা কিভাবে কাজ করে।এ জন্য আপনাকে বিভিন্ন ধরনের এনক্রিপশন এলগরিদম
যেমন: WEP, WPA,WPA2 সর্ম্পকে জানতে হবে।এছাড়া বিভিন্ন প্রোটোকল এবং
কানেকশন সর্ম্পকে ধারনা রাখতে হবে।
৭.স্ক্রিপ্টিং:
স্ক্রিপ্টিং দক্ষতা ছাড়া একজন হ্যাকারকে
অন্যের তৈরি হ্যাকিং টুলের ওপরে নির্ভর করতে হয়। সুতরাং নিজের তৈরি ইওনিক হ্যাকিং টুলের জন্য BASH Shell সহ
কমপক্ষে ১ টা স্ক্রিপ্টিং ল্যাংগুয়েজ শিখতে হবে।
৮.ডাটাবেস দক্ষতা:
আপনি যদি দক্ষতার সাথে ডাটাবেজ হ্যাক
করতে চান তাহলে আপনাকে ডাটাবেজ
সর্ম্পকে ধারনা রাখতে হবে কিভাবে সেটা
কাজ করে। SQL সহ আমি আপনাকে আরো কিছূ গুরত্বপূর্ন ডাটাবেজ
যেমন: SQL Server, Oracle, or MySQL সর্ম্পকে জানার জন্য সাজেস্ট করছি।
৯.ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন:
বর্তমান সময়ে ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন হ্যাকারদের জন্য সর্বশ্রেষ্ট জায়গা।
আপনি ওয়েব এপ্লিকেশন কিভাবে কাজ করে এবং এর পিছনে থাকা ডাটাবেজ সর্ম্পকে যত ভালো জানবেন ততো
ওয়েব এপ্লিকেশন ও ওয়েব সাইট হ্যাক করতে দক্ষ হয়ে ওঠবেন।
১০.ফরেনসিক:
ভাল হ্যাকার হতে আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে নিজেকে নিরাপদ রাখার পদ্ধতি।আপনি কম্পিউটার ফরেনসিক
সর্ম্পকে যত বেশি জানবেন তত বেশী ধরা
খাওয়া থেকে বেচে যাবেন।
১১.ক্রিপ্টোগ্রাফি:
একজন এক্সপার্ট হ্যাকার হিসাবে আপনার
প্রয়োজন ক্রিপ্টোগ্রাফি সর্ম্পকে জানা ও দক্ষ হওয়া প্রয়োজন।ইন্টারনেট এবং
নেটওয়ার্কিং এ এটা অত্যন্ত গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।এটা তৃতীয় পক্ষ থেকে নিরাপদে যোগাযোগের জন্য একটি
প্রযুক্তি।এই প্রযুক্তি সাধারনত এটিএম বুথ, ই কমার্স ওয়েব সাইট, কম্পিটার পার্সওয়ার্ড এসব ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। হ্যাকিয়ের জন্য এই ইনক্রিপটেড কোড
ভাঙ্গার প্রয়োজন হয় যেটাকে বলা হয়
ডিক্রিপশন। SSL বেজড ইনটার্নেট
কমিউনিকেশনের এর ক্ষেত্রে ক্রিপ্টোগ্রাফি
প্রযুক্তি বহুল ভাবে ব্যবহার করা হয়।সুতরাং একজন্য এক্সপার্ট হ্যাকারের SSL
কিভাবে কাজ করে এবং ক্রিপ্টোগ্রাফি
কিভাবে SSL নিরাপদ রাখে সেটা জানা
উচিত।
১২.রিভার্স
ইঞ্জিনিয়ারিং: রিভার্স ইঞ্জিনিয়ারিং এর
মাধ্যমে আপনি যে কোন ম্যালওয়্যার বা
সফট্ওয়্যার মডিফাই করার মাধ্যমে আরো
কার্যকর সফটওয়্যার তৈরি করতে পারেন।
১৩.হ্যাকিং চ্যালেন্জে
অংশ নিন: নিয়মিত বিভিন্ন হ্যাকিং চ্যালেন্জে অংশ নেয়ার মাধ্যমে
আপনার দক্ষতাকে আরো মজবুত করতে পারেন।এছাড়া বিভিন্ন কোম্পানি আছে যারা তাদের সফটওয়্যারের ভারনাওবুলিটি চেক করার জন্য চ্যালেন্জের আয়োজন করে থাকে। নিচের ওয়েব সাইটের
মাধ্যমে অনলাইনে আপনি চ্যালেন্জে অংশ
নিতে পারেন।
http://www.trythis0ne.com
https://www.hacking-lab.com
১৪.শিখতে থাকুন:
হ্যাকিং ক্যারিয়ারের সফলতার অন্যতম
চাবিকাঠি হলো সব সময় শিখতে থাকা।বিভিন্ন ধরনের ব্লগে নিয়মিত ভিজিট করুন এবং তাতে অংশ নিন। অনলাইনে TED
অথবা TechTalk এ হ্যাকিং টেকনিক ও
টেকনোলজি সম্পর্কিত ভিডিও দেখতে পারেন।
তাছাড়া আপনার উচিত বিভিন্ন বিখ্যাত
হ্যাকারের পোস্ট অনুসরন করা।
আমি আশা করছি লেখাটির মাধ্যমে কিছু
গাইডলাইন দিতে পেরেছি। পরর্বতী
লেখা গুলাতে প্র্রতিটি বিষয় সম্পর্কে
বিস্তারিত আলোচনা করব। সুতরাং আমাদের সাথে থাকুন!
আপনার জন্য শুভকামনা।
লেখাটি সর্ম্পকে আপনার যে কোন ধরনের
মতামত আমাদেরকে কমেন্ট এ জানাতে
পারেন। ভাল লাগলে বন্ধুদের মাঝে অবস্যই শেয়ার করবেন।
0 Response to "যে দক্ষতার মাধ্যমে হতে পারেন একজন প্রফেশনাল হ্যাকার। "
Post a Comment